স্যালাইন বানাতে হবে প্যাকেটে লেখা নিয়ম দেখে। আধা লিটার পানিতে ১ প্যাকেটের পুরো প্যাকেট ওরস্যালাইন মেশাতে হবে। পানির পরিমান এর চেয়ে বেশি বা কম হওয়া যাবে না। এছাড়া মনে রাখবেন, কখনই গরম পানিতে স্যালাইন বানাবেন না। পানি ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে তারপর স্যালাইন মেশাতে পারেন। বা নরমাল টিউবয়েলের পানি ব্যাবহার করতে পারেন।
তা না হলে জীবন রক্ষাকারী স্যালাইন হয়ে যেতে পারে মৃত্যুর কারণ। বানানো স্যালাইন ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো থাকে, এরপরে খাওয়ার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। ১২ ঘণ্টা পরে স্যালাইন খাওয়ার প্রয়োজন হলে, আগের স্যালাইন ফেলে দিয়ে। একই পদ্ধতিতে নতুন ভাবে বানিয়ে নিতে হবে।
ভুল পদ্ধতিতে স্যালাইন বানানো কেন ভয়ঙ্কর?
খাবার স্যালাইনে উপাদান গুলো এমন ভাবে থাকে যেন তা আমাদের শরীরের ঘনত্বের সাথে মিলে যায়। একে আইসটনিক দ্রবণ বলে। এর ফলে শরীরের পানি শূন্যতা পূরণ হয়। কিন্তু কেউ যদি নিয়ম না মেনে বেশি ঘন করে স্যালাইন বানান তবে তা হাইপারটনিক হয়ে যাবে। স্যালাইনের ঘনত্ব শরীরের ভেতরের তরলের ঘনত্বের চেয়ে বেশি হয়ে যাবে। এই ঘন স্যালাইন খাওয়ার ফলে কোষের ভেতরের যে পানি আছে তা সমতার জন্য কোষের বাইরে চলে আসবে। এতে করে শরীর আরও পানি হারাতে থাকবে এবং ডায়রিয়া বেড়ে পানিশূন্যতা আরও বেশি হবে। ঠিক যেমন সাগরের পানি খেয়ে তৃষ্ণা আরও বেড়ে যায় কারণ সাগরের পানিও হাইপারটনিক। তাই এই স্যালাইন পানিশূন্যতা পূরণের চেয়ে তা আরও বাড়িয়ে দেবে যার ফলে একজনের মৃত্যুও হতে পারে। তাই পানি শুন্যতা পুরনে খাবার স্যালাইন খান এবং অবশ্যই সঠিক নিয়ম মেনে খাবেন